১৯৯৮সালে প্রতিষ্ঠিত ভালুকা পৌরসভা ইতিমধ্যে এ গ্রেডে উন্নীত এই পৌরসভায় নির্বাচন জমে উঠেছে তুঙ্গে । এবার আবার নৌকা ,ধানের শীষ প্রতীক হওয়াই প্রচারনায় পাচ্ছে নতুনমাত্রা । ভোটারদেরও উৎসাহের কোন কমতি নাই । নানান জল্পনা কল্পনা করছেন কে হচ্ছেন এই পৌরপিতা । নৌকার হবে নাকি ধানের শীষের হবে আবার স্বতন্ত্র আছেন মাঠে । তাই জোর প্রচারনা চালাচ্ছেন স্ব স্ব প্রার্থীরা ।
আওয়ামীলীগ মনোনীত বর্তমান মেয়র ডাঃ মেজবাহ উদ্দিন কাইয়ুম নৌকা প্রতীক নিয়ে নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে পৌরসভার আনাচে কানাচে দিন রাত বিরামহীন ব্যাপক গনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন । ঘুরছেন পাড়া মহল্লায় যাচ্ছেন বাড়ীতে বাড়ীতে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে । ভোটারদের কাছে ভোট চাচ্ছেন পৌরসভার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে । মেয়র কাইয়ুমের সমর্থক ভালুকা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম পিন্টু বলেন ,ডাঃ মেজবাহ উদ্দিন একজন সৎ ,শিক্ষিত ও লির্লোভ মানুষ তাই তাকে আওয়ামীলীগ মনোনীত করেছেন । তিনি পৌরসভায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন তাই তিনি মনে করেন এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে জনগন নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে তাকে আবার পুনরায় জয়যুক্ত করবেন ।
মেয়র প্রার্থী ডাঃ মেজবাহ উদ্দিন কাইয়ুম বলেন ,আমি মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর এই পৌরসভার উন্নয়ন সহ পৌরবাসীর সকল প্রকার নাগরিক সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করেছি । আমি এই পৌরসভাকে বি গ্রেড থেকে এ গ্রেডে উন্নীত করেছি । বিশ্ব ব্যাংক হতে পৌরসভা উন্নয়নের জন্য নামমাত্র সুদে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা ঋন মুঞ্চুর করেছি যার কাজ এখনও চলমান । তিনি মনে করেন পৌরবাসী আবারও তাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন ।
বিএনপি’র প্রার্থী সমাজ সেবক হাতেম খান প্রচারনায় চালাচ্ছেন নিরবে নিভৃতে এবং কৌশলে । তার প্রচারনা চোখে পরার মত না হলেও তিনিও থেমে নেই । নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে তিনিও আছেন মাঠে ধানের শীষ নিয়ে। বিএনপি’র হাত থেকে ছিটকে পরা পৌরসভার এই আসনটি আবার তাদের হাতে নিতে তিনিও সব রকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন । তবে সাবেক ২বারের মেয়র বিএনপি’র বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় তিনি তেমন সুবিধা করতে পারছেন না বলে মনে করেন পৌর ভোটাররা ।
বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হাতেম খান বলেন ,আমি বহুদিন যাবত পৌরবাসীর খেদমত করে আসছি তাদের সকল সামাজিক অনুষ্ঠানে নিজেকে সংপৃক্ত করেছি । যদি সুষ্ঠ ভোট হয় তাহলে পৌরবাসী আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন ।
অপরদিকে বিদ্রোহী প্রার্থীরাও থেমে নেই তারাও প্রচারনা চালাচ্ছেন জোরে সুরে । জয় ছিনিয়ে আনতে তারা- মার্কা নয় ব্যক্তি কে ভোট দিতে ভোটারদের উৎসাহ দিচ্ছেন । বিএনপি’র বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা বিএনপি’র সদস্য সাবেক মেয়র মফিজ উদ্দিন সরকার বলেন ,আমি র্দীঘদিন যাবত পৌরবাসীর সাথে ছিলাম তারা আমাকে ভালবাসে কিনা তার টেষ্ট করতে এবার প্রার্থী হয়েছি । আমি মনে করি পৌরবাসী আমাকে ভালবেসে আমার জগ প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন ।
আওয়ামীলীগ সমর্থক আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ওমর ফারুক মাষ্টার বলেন আমি দীর্ঘদীন এই উপজেলায় শিক্ষকতা করেছি । একজন শিক্ষক হিসাবে আমার অনেক ছাত্রছাত্রী ও অভিবাবক আছে পৌরসভায় । তাদের অনুপ্রেরনায় আমি এবার মেয়র প্রার্থী হয়েছি, আমি মনে করি তারাই আমাকে আমার নারিকেল গাছ প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে জয়যুক্ত করবেন ।
প্রার্থীদের এই আনা গোনায় পৌরসভার চায়ের ষ্টল ,অফিস পাড়ায় ব্যাপক আলোড়ন সুষ্টি করেছে । প্রতিদিনই নানান জল্পনা কল্পনা করছেন ভোটাররা । শীতের আগমন- ভোটের হাওয়া একসাথে হওয়াই চায়ের কাপে নির্বাচনী ঝর বইছে । সবারই একটাই প্রশ্ন ! কে হচ্ছেন পরবর্তী পৌর পিতা । প্রায় ২২হাজার ভোটের এই পৌরসভায় কে হচ্ছেন পরবর্তী পৌরপিতা তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে ৩০ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন