বিএনপি এ নির্বাচনে শতকরা ৮০ ভাগ ভোট পাবে বলে বিভিন্ন সুত্র থেকে জানা গেছে। এ কারণেই সরকার ভোট জলিয়াতির আশ্রয় নিতে পারে। নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়, প্রশাসন-পুলিশ ও নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের মাধ্যমে বিজয় ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হলে শ্রীপুর থেকে আন্দোলন শুরু হবে। এ আন্দোলন দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
শ্রীপুর পৌরসভার নির্বাচনী বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মো. শহীদুল্লাহ শহীদের পক্ষে রোববার দুপুর ১টায় শ্রীপুরের ভাংনাহাটীতে গণসংযোগে অংশ নিয়ে এক পথসভায় বক্তব্যকালে বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এখন মুক্ত বিহঙ্গের মতো কথা বলা যায় না। সরকার বিএনপির নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় জর্জরিত করে রেখেছে। আমাদেরকে আষ্টে পিষ্টে বেঁধে রেখে নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা চিন্তিত নই। সরকারের রয়েছে র্যাব, পুলিশ। আমাদের রয়েছে জনগণ।
৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আফাজ উদ্দিন মন্ডলের সভাপতিত্বে পথসভায় বক্তব্য দেন গাজীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইয়্যেদুল আলম বাবুল, বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য মাওলানা এস এম রূহুল আমীন, ড্যাবের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা: এস এম রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. শাহজাহান ফকির, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল মোতালেব, সিরাজ উদ্দিন কাঁইয়া, জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির সরকার, শ্রীপুর পৌর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট কাজী খান, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোছলেহ উদ্দিন মৃধা, টঙ্গী সরকারী কলেজের সাবেক জিএস জিয়াউল হাসান স্বপন, প্রমূখ। সবশেষে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর ধানের শীষ মার্কায় ভোট প্রার্থনা করেন।
পথসভায় থানা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান ফকির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, নির্বাচনী ফলাফলের পর ভোটের হিসাব নিকাশ করা হবে। যেসব কর্মীর নির্বাচর্নী এলাকায় ধানের শীষ ভোট কম পাবে তাদেরকে এর সুনির্দিষ্ট কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে।
জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির বলেন, সরকারদলীয় প্রার্থীর সাথে দলীয় নেতাকর্মীদের অনৈক্য রয়েছে। কিন্তু বিএনপি ঐক্যবদ্ধ। এ কারণেই বিজয় বিএনপির সুনিশ্চিত।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন